মতবিনিময়ে নৌ উপদেষ্টা
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের বিধান সঠিক হয়নি
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশের আগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিতকরণের বিধান সঠিক হয়নি বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটা বোধ হয় সঠিক হলো না।’
আজ শনিবার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সাখাওয়াত হোসেন। তবে নৌ উপদেষ্টা এই মতকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবেল ইলেকশন (অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন) করতে চাই। ভালো নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার। বাকিটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনের কাজ। সরকার ইসিকে সহায়তা করবে।—এম সাখাওয়াত হোসেন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যখন আমি অ্যাক্রিডিটেশন দিচ্ছি সাংবাদিকদের, আমি ইতিমধ্যেই তাঁকে অনুমতি দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এসব সমস্যা অত বড় নয়, ছোট সমস্যা। ইলেকশন কমিশনের (ইসি) উচিত হবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনায় বসা। আমরা একাধিকবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতাম।’
‘গণমাধ্যমের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত বিধিমালা পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজক রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। সহযোগিতায় ছিল বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন।
এম সাখাওয়াত হোসেন ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এই উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা শতাব্দীর বেস্ট ইলেকশন (সেরা নির্বাচন) করবেন। আমরাও চাই, আপনারা শতাব্দীর বেস্ট ইলেকশন করবেন। কিন্তু আপনারা যাঁদের ব্যবহার করবেন, তাঁরা আই (দৃষ্টি বা চোখ; এখানে সাংবাদিক অর্থে)। আই শুড বি অ্যাবসলিউটলি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার (এই দৃষ্টি একেবারে স্বচ্ছ হওয়া উচিত)।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান তুলে ধরে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবেল ইলেকশন (অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন) করতে চাই। ভালো নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার। বাকিটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনের কাজ। সরকার ইসিকে সহায়তা করবে।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন জেবেল (কাজী জেবেল)। তিনি মনে করেন, গত ২৩ জুলাই নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের জন্য যে নীতিমালা প্রকাশ করেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। তিনি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ ও কেন্দ্রের ভেতরে ১০ মিনিটের বেশি থাকতে না পারার বিধান বাতিলের দাবি জানান।
কাজী জেবেল বলেন, ‘গত তিন নির্বাচনে সাংবাদিকদের জন্য যে নীতিমালা ছিল, সেটিকেই অনেকটা হুবহু রেখে নীতিমালা জারি করেছে কমিশন।’
বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব (বিএফইউজে) কাদের গণি চৌধুরী, আরএফইডির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রমুখ।