ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান প্রকৌশলীর প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান

‘ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান প্রকৌশলীর “দুর্ব্যবহার”, কাজ না করার সিদ্ধান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের’ শীর্ষক প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান। প্রতিবাদলিপিতে তিনি দাবি করেছেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. ইলিয়াছ মিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ইলিয়াছ মিয়া নামে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কোনো জনবল নিযুক্ত ছিল না। মান নিশ্চিত করে সেবা প্রদানে ব্যর্থতার কারণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি। সাতত্য-জেপিজেড যৌথ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে স্থপতি মো. রফিক আজম আগেকার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তিন বছর পূর্বে যে চুক্তির মেয়াদ সমাপ্ত হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সেবা কখনোই চাওয়া হয়নি বা সরকারি কাজে আদৌ ব্যবহারের সুযোগ থাকে না। রফিক আজমের সঙ্গে যোগসাজশে তাঁর (প্রধান প্রকৌশলীর) মর্যাদাহানি ও হয়রানির উদ্দেশ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দেওয়া চিঠির বরাত দিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

স্থপতি রফিক আজমের চিঠি প্রথম আলোর হাতে আসার পর তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি করা হয়। প্রতিবাদপত্রে প্রকৌশলী ইলিয়াছ মিয়া পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জনবল নয় বলে দাবি করা হয়েছে। তবে সাতত্যের প্রধান স্থপতি রফিক আজম প্রথম আলোকে বলেছেন, গত বছরের ২৩ নভেম্বর ইলিয়াছ মিয়াসহ প্রতিষ্ঠানের দুজন কর্মকর্তাকে নিয়ে তিনি প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী হিসেবে ইলিয়াছ মিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেন।

মান নিশ্চিত করে সেবা প্রদানে ব্যর্থতার কারণে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি বলে প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রফিক আজম প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁদের সেবার মান ভালো নয়, গত আড়াই বছরে এমন কোনো চিঠি তাঁরা পাননি। তাঁর কাজের কারণে সিটি করপোরেশন আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছে।

এ ছাড়া রফিক আজম কাজ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পরদিনই (৮ ফেব্রুয়ারি) তাঁকে পরামর্শক সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।