রিজার্ভের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মসিউর রহমান বলেন, ‘রিজার্ভটাকে দেখতে হবে, আমদানির জন্য কত ব্যয় হবে তার একটা প্রজেক্টর। রপ্তানি থেকে রেমিট্যান্স কত আয় করতে পারব, সেটা দেখতে হবে।’

আয়-ব্যয়ের সম্পর্ককে বিবেচনায় নিলে রিজার্ভ কত হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিনিময় হারটা একটা সহনশীল স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখতে হবে। সে জন্য রিজার্ভ খুব বেশি নেমে যাওয়া ঠিক না, আবার খুব বেশি রাখাও ঠিক না। আবার সোর্স ব্যবহার না করে রেখে দেবেন, দুটোর কোনোটাই ঠিক না। তবে এ সংখ্যাটা অর্থনীতির অবস্থার সঙ্গে কিছু কমবেশি হয়।’

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ কতটা সহায়ক, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, সেটা নির্ভর করবে কোন ধরনের পণ্য উৎপাদন করতে চায় তার ওপর। যেমন বাংলাদেশে যদি কেউ বৈদ্যুতিক গাড়ি খাতে বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে সেই সুযোগ সে পেতেও পারে। কিন্তু দেখতে হবে এটাতে বিনিয়োগ করার মতো বাস্তবতা আছে কি না। কারণ, বাংলাদেশে উচ্চপ্রযুক্তির পণ্যের বাজারটা খুব ছোট। আবার রপ্তানি করতে গেলে বৈশ্বিক বাজারে তাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে। অতএব একদিক থেকে বিনিয়োগ পরিবেশ আছে, আবার নেই।

মসিউর রহমান বলেন, যদি কেউ শিল্প বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে সম্পদ তৈরি করে, তাহলে সে সম্পদের বিনিয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। যদি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় সম্পদ আহরণ করে, তাহলে মূল্য সঠিক রাখার জন্য আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট যেটা আছে, বিনিময় হারটা স্থিতিশীল কিন্তু বাস্তবসম্মত রাখতে হবে।

এর আগে তিনি বিস আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘গিগ ইকোনমি অ্যান্ড বাংলাদেশ: অপরচুনিটিজ, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন পলিসি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।