সিলেট-২: মেয়র মুহিবুরের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে ইসি ও এক প্রার্থীর আবেদন
সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমানকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশন ও এক প্রার্থী। মুহিবুর রহমান বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র।
আবেদনটি দুটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, এখানে আইনি ব্যাখ্যার বিষয় আছে। সবাই মিলে (পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ) শুনব।
মুহিবুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন। ১৫ ডিসেম্বর ইসি আপিল না মঞ্জুর করেন। ফলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এ অবস্থায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাঁকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেন। ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে।
পৌরসভার মেয়র পদে থেকে মুহিবুর রহমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না—এমন যুক্তিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি ও আসনটিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী মো. জহির পৃথক আবেদন করেন। আবেদন দুটি আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে জহিরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী। মুহিবুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক, সঙ্গে ছিলেন এম মনজুর আলম ও মো. তায়্যিব–উল–ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী মো. ইয়াছিন খান শুনানি করেন।
পরে আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পৌরসভার মেয়র পদে থেকে মুহিবুর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। ২০০১ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদশ সংশোধন হয়। সংশোধিত আইন অনুসারে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা, যে কারণে তিনি মেয়র পদে থেকে নির্বাচন করতে পারেন না। মূলত এই যুক্তিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী ও ইসি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করে। চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আগামী ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’