রাঙামাটিতে শিশু হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের পূর্ব কোদালা এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার দায়ে অংবাচিং মারমা (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। রাঙামাটি জেলা দায়রা জজ আদালতে বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন। জেলা দায়রা জজ আদালতে এটাই প্রথম ফাঁসির আদেশ।
রায়ে বলা হয়, গত ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের পূর্ব কোদালা এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় আসামি প্রাইভেট শিক্ষক অংবাচিং মারমা অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে শিশুটি কান্না করলে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে মুখ চেপে ধরে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তাকে।
দীর্ঘ ছয় বছর মামলা চলার পর আজ মামলার রায় দেন রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন। বিচারক উপস্থিত মামলার বাদী-বিবাদীদের উভয় পক্ষের সামনে মামলার আদেশ পড়ে শোনান।
মামলার রায়ে আদালত আসামি অংবাচিংকে বিভিন্ন অপরাধে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদের সাজা দেন। এর মধ্যে আসামি মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আদেশও রয়েছে। আসামি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০–এর ২৮ ধারা অনুযায়ী এ দণ্ডাদেশ ও সাজার বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে ৬০ দিনের মধ্য আপিল দায়ের সুযোগ পাবেন বলে আদেশে জানানো হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আসামি ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে উচ্চতর আদালতে আপিল করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রায়ের ফলে রাষ্ট্র ও সমাজে নারী ও শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ রোধ হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে সমাজে আর কেউ আর এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করার সাহস পাবে না।