কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে

কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা যাত্রীদের। ঢাকা, ৪ এপ্রিলছবি: সাজিদ হোসেন

রাজধানীর কমলাপুরে ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরতে মানুষের চাপ গতকাল বুধবারের তুলনায় আজ বৃহস্পতিবার কিছুটা বেড়েছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকে নিজ গন্তব্যে রওনা করেছেন। আজ ট্রেনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন।

বেলা দুইটার দিকে কমলাপুরে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় মানুষের ভিড় বেশি। যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত অপেক্ষা কক্ষ থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্ম—সব জায়গায় ব্যাগ–ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ। ট্রেন এলেই দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়ছেন তাঁরা।

বেলা দুইটার দিকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছান বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আশিকুর রহমান। সিল্ক সিটি ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিজের বাড়িতে যাবেন তিনি। ট্রেনের যাত্রা আরামদায়ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিকিট অনলাইনে আগাম কিনে রেখেছিলেন তিনি।

প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষার পর ট্রেন এলে ওঠার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ঢাকা, ৪ এপ্রিল
ছবি: সাজিদ হোসেন

কারওয়ান বাজারের বাসিন্দা আবু ইউসুফ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কমলাপুরে এসেছেন বেলা সোয়া দুইটায়। জামালপুর কমিউটার ট্রেনে টাঙ্গাইল যাবেন তিনি। এবারের ঈদযাত্রায় তাঁর বন্ধু আগাম টিকিট কিনে দিয়েছিলেন। কমলাপুরে যাত্রীদের জন্য এবার ব্যবস্থাপনা ভালো করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে আগাম টিকিটে ঈদযাত্রা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। গতকাল অবশ্য যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না। সেই তুলনায় আজ ভিড় বেশি। আজ ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে ট্রেনে উঠে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন।

বাড়ি ফিরতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কমলাপুর স্টেশনে শিশুটি। কমলাপুর, ঢাকা, ৪ এপ্রিল
ছবি: সাজিদ হোসেন

রেলওয়ে স্টেশন সূত্র বলছে, কমিউটার, আন্তনগর ট্রেনসহ প্রতিদিন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ৬৭ জোড়া ট্রেন আসা–যাওয়া করে। আজ সকাল থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে ২২টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। আশা করছি যাত্রীরা এবার স্বস্তিতে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরতে পারবেন।’