বিনোদন মাধ্যমের টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে ইউল্যাবের শ্বেতপত্র
দেশের বিনোদন মাধ্যমের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) গণমাধ্যম অধ্যয়ন ও সাংবাদিকতা বিভাগ। বিনোদন মাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রবণতা এবং এ খাতের বিকাশ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে আলোচনা শ্বেতপত্রের মূল উদ্দেশ্য।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ শ্বেতপত্রে বলা হচ্ছে, দেশের বিনোদনশিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থাপনা ও আইনি কাঠামো অনুসরণ করা যেতে পারে, সেসব বিষয়ে এই খাতের সঙ্গে জড়িত অংশীজনেরাই এর সবচেয়ে ভালো দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম।
ইউল্যাবের গণমাধ্যম অধ্যয়ন ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ–উপাচার্য জুড উইলিয়াম হেনিলো, সহযোগী অধ্যাপক সরকার বারবাক কারমাল ও মুহাম্মদ আবদুল কাদের সম্মিলিতভাবে শ্বেতপত্রটির খসড়া তৈরি করেছেন।
বিনোদন মাধ্যমের উন্নয়নে একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে ভারসাম্যপূর্ণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন জুড উইলিয়াম। বিনোদন ও সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন চীন, জাপান বা ভারত কী কৌশল অবলম্বন করে, তা পর্যবেক্ষণের প্রতিও জোর দেন তিনি।
কঠোর নীতিমালা বিনোদনশিল্পের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারে বলে মন্তব্য করেন বারবাক কারমাল। মুহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, কঠোর নিয়ন্ত্রণ হয়ে উঠতে পারে সংবিধানে বর্ণিত ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংরক্ষিত চিন্তা, বাক, মতপ্রকাশ কিংবা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি, যা কিনা ক্ষেত্রবিশেষে হয়ে উঠতে পারে খোদ সংবিধানপরিপন্থী।