এডিস মশা মোকাবিলায় জনসচেতনতার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামছবি: মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা মোকাবিলায় জনসচেতনতার জন্য জেল প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে আজ বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই নির্দেশনা কথা জানান মন্ত্রী।

গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের এই সম্মেলনে আলোচনার জন্য ৩৫৬টি লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রী-সচিবদের উপস্থিতিতে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।

ডিসিরা মাঠপর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তাই সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে এই আলোচনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। আজ শেষ হচ্ছে চার দিনের ডিসি সম্মেলনে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ডিসিদের অবহিত করা হয়েছে, আগে শহর এলাকায় এডিস মশা লক্ষ করা গেছে। গত বছর গ্রামেও এর উপস্থিত লক্ষ করা গেছে। এ বিষয়ে এর আগে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় অনেকগুলো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটি ‘ইন্ডিকেটর ফ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট’ তৈরি করা আছে। সে অনুযায়ী সবাইকে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এই কাজে সারা পৃথিবী যেটা মনে করে, সেটি হচ্ছে, এডিস মশা মোকাবিলার জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো ৯০ শতাংশ জনসচেতনতা, ১০ শতাংশ কারিগরি বা অন্যান্য বিষয়। ডিসিদের এই কথা বলা হয়েছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য ডিসিরা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের লিফলেট বিতরণ বা জনসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো ঠিকমতো পালন হচ্ছে কি না, সেগুলো তাঁরা দেখবেন। মন্ত্রণালয় প্রতিবেদন দেবেন। আর দায়িত্ব ইতিমধ্যে বণ্টন করে দেওয়া আছে। এডিস মশা মোকাবিলার জন্য সরকার ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা সঠিক সময়ে নেওয়া হচ্ছে।