সরকার দেশজুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে: ২২ পেশাজীবী সংগঠন

বিএনপিপন্থী ২২টি পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেছেন, বিরোধীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকার দেশজুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ক্ষমতাসীনেরা জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচাল করে আবার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে।

আজ রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সংগঠনগুলোর নেতারা। তাঁরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের মুক্তিও দাবি করেন।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচাল করে সরকার আবার ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। বিরোধীদের কর্মসূচিকে ঘিরে একটা পরিস্থিতি তৈরি করে গণগ্রেপ্তার, খুন, গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। সরকার দেশজুড়ে একটা ভীতিকর ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পুলিশের সামনে সরকারি দলের অস্ত্রধারীরা ঘুরে বেড়ান। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ধরে না। উল্টো তাঁদের অপকর্ম করার জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয় পুলিশ।

সংগঠনগুলোর নেতারা নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হলে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সহজেই হবে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করা নিন্দা জানাচ্ছেন নেতারা। দেশের এই গর্বিত নাগরিকদের অসম্মান, নির্যাতন, নিপীড়ন জাতির জন্য মঙ্গল ডেকে আনবে না। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক পরিবেশ না থাকায় মেধাবীরা এখন দেশে থাকতে চাইছেন না। নির্যাতন, নিপীড়ন, দুর্নীতি, লুটপাট কায়েমের পাশাপাশি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও বাক্‌স্বাধীনতা যেভাবে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তাতে তাঁরা উদ্বিগ্ন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী পেশাজীবী নেতারা হলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, মহাসচিব কায়সার কামাল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি হারুন আল রশীদ, মহাসচিব মো. আবদুস সালাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) সভাপতি এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মহাসচিব মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদ, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি রাশিদুল হাসান হারুন, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম প্রমুখ।