ফরিদা আখতার নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি অধিকারকর্মী হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ১৯৮০-এর দশক থেকেই, বিশেষ করে নারী অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন। উন্নয়ন বিতর্কের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। জৈবকৃষি, প্রাণবৈচিত্র্য নিয়ে একাধিক গবেষণামূলক গবেষণা ও কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ফরিদা আখতার নারী গ্রন্থ প্রবর্তনা নামে নারীবিষয়ক একটি প্রকাশনা সংস্থার প্রধান। ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরে ইয়াসমিন আক্তার নামে ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। এ ঘটনায় সৃষ্টি হওয়া ব্যাপক প্রতিবাদে অংশ নেন ফরিদা আখতার। পুলিশের কয়েকজন সদস্য ওই কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছিলেন। সেই সময় ওই ঘটনা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে। ফরিদা আখতারের জন্ম চট্টগ্রামে, ১৯৫৩ সালে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে নারী ও গাছ, কৈজুরী গ্রামের নারী ও গাছের কথা।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের মারাত্মক কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি এবং প্রতিকার আন্দোলনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুপরিচিত তিনি।