সারের কৃত্রিম সংকট রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ
কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে এবং দাম বেশি নিতে না পারে, সে জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে ভার্চ্যুয়ালি ‘সার্বিক সার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় কৃষিসচিব এই নির্দেশনা দেন। এ সময় সায়েদুল ইসলাম বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে। কোথাও সারের সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই বেশি মূল্যে সার বিক্রির কোনো তথ্য বা সংবাদ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা রিপোর্ট করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং কৃষি বিভাগের সারা দেশের জেলা-উপজেলাসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ পর্যন্ত ইউরিয়া সারের মজুত আছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বর্তমানে সারের বর্তমান মজুত বেশি বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
সভায় কৃষিসচিব বলেন, ‘কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংকট তৈরি করছে কি না, সে বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।’
এ সময় কৃষিসচিব বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে রয়েছেন ডিলাররা যেন বরাদ্দ করা সার যথাসময়ে উত্তোলন করেন, তা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত তদারকি জোরদার করা। এ বিষয়ে বলা হয়, কোনো কোনো ডিলার বরাদ্দ সার যথাসময়ে উত্তোলন না করার কারণে সার বিক্রির সময় রেশনিং করে থাকেন, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। ফলে মাঠপর্যায়ে কৃষকের মধ্যে একধরনের কৃত্রিম আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া রসিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয় সভা থেকে। একই সঙ্গে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। সার্বিক বিষয় নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ডিলারদের নিয়ে সভা করে কৃষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সবাইকে সারের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।