দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ বিভিন্নভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হচ্ছে। ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজনের চিকিৎসার অভাবে এসব রোগীর ৭৫ শতাংশই মারা যায়। বছরে কিডনি বিকল হয়ে মারা যায় ৫০ হাজার মানুষ।
গত শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে কিডনি ফাউন্ডেশনের দুই দিনব্যাপী ১৯তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের কিডনি ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ঢাকার চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ডা. ইব্রাহিমের মতো একজন সফল ব্যক্তির হাত ধরে এ দেশে ডায়াবেটিস রোগীরা নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে এই রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ দেশে–বিদেশে তৃণমূল থেকে শহর ও নগরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক নিজামউদ্দীন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন রয়্যাল লন্ডন হাসপাতাল, ইউকের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাগদি ইয়াকুব, জর্জ ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ, ভারত এবং গ্লোবাল হেলথের চেয়ার ফ্যাকালটি অব ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক বিবেকানন্দ জা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইমেরিটাস অধ্যাপক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, কিডনি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক রুহুল আমিন রুবেল প্রমুখ। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান কিডনি ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।