চট্টগ্রামের বাজারে ভারতীয় আলু, দাম কমেছে

চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দাম কমেছে। বহদ্দারহাটের বাজারে আজ সোমবার ভারতের আলুর পাশাপাশি দেশি আলুর দামও কমেছে
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের বাজারে ভারতীয় আলুর সরবরাহ হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কেজিতে গড়ে পাঁচ টাকা কমেছে। আজ সোমবার নগরের চার খুচরা বাজার ও আশপাশের দোকানে ভারতীয় আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে।

আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাজারে দেখা গেছে, দুই পাইকারি বাজার চাক্তাই ও রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে আসা আলু মাটি-বালু সরিয়ে পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে। এরপর বিক্রির জন্য দোকানে তুলছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় আলু ৪০ থেকে ৪২ ও দেশীয় আলু ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এ ছাড়া চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, চন্দনপুরা ও আশপাশের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ভারতীয় আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুন্সিগঞ্জের দেশীয় আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই প্রকারের আলুই গতকালের চেয়ে কেজিতে গড়ে দাম ৫ টাকা করে কমেছে।

চকবাজার এলাকার আলু বিক্রেতা মোহাম্মদ কামাল বলেন, বাজারে ভারতীয় আলু আসায় দাম কমেছে। পাইকারিতে দাম কমেছে, তাই খুচরা পর্যায়েও এখন দাম কম।

গতকাল রোববার চট্টগ্রামের দুই পাইকারি আড়ত চাক্তাই ও রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় কমে আলুর দাম। চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, পাইকারি পর্যায়ে ভারতীয় আলু ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চাক্তাই ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে ভারতীয় আলু বোঝাই ট্রাক এসেছে চারটি। সরবরাহ বাড়তে থাকলে দাম আরও কমে যাবে।

দেশের বাজারে আলুর দাম সর্বোচ্চ কেজিতে ৭০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছালে ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতি, শনি ও গতকাল রোববার পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ১ হাজার ৯৮৪ টন আলু দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। রোববার ১২ থেকে ১৪টি ট্রাক প্রবেশ করেছে আলু নিয়ে। আলু আমদানি অব্যাহত আছে।

কমেছে সবজির দাম
এদিকে আলুর পাশাপাশি পাইকারি বাজারে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। সবজির আড়তগুলোতে ফুলকপি ছাড়া বাকি সব সবজিই ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরের মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ভালো মানের ফুলকপি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ টাকার আশপাশে।

চট্টগ্রামের সবজির আড়ত রিয়াজউদ্দিন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়তে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজির সরবরাহ হয়েছে। ফলে দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। এর আগে টানা তিন দিনের অবরোধের কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে চট্টগ্রামে সবজি না আসায় চট্টগ্রামে সবজির দাম বেড়েছিল। অবরোধ থাকলেও বর্তমানে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, সোমবার বাজারে প্রায় ১৮টি সবজি বোঝাই ট্রাক এসেছে। আগের দিনের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে অন্তত ৫ টাকা। সরবরাহ বাড়তে থাকলে দাম আরও কমে যাবে।