নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ব্যক্তির মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মাটি পরীক্ষার কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ছমির মুন্সির হাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাইদ্দা গ্রামের মো. সবুজ (৪২) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভৌলা গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৫)। একই ঘটনায় মো. বাচ্চু নামের আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই দুই ব্যক্তি ঢাকার ‘ডিজিটাল সার্ভে কনসালট্যান্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে মাটি পরীক্ষার কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে ছমির মুন্সির হাট পূর্ব বাজারের হাজী তবারক আলী বিপণিবিতানের পাশে আয়েশা সিদ্দিকা বালিকা মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করছিলেন ডিজিটাল সার্ভে কনসালট্যান্ট কোম্পানির কয়েক কর্মী। মাটি পরীক্ষার জন্য তাঁরা ভূগর্ভে ৩৫-৪০ ফুট গভীরে একটি লোহার পাইপ প্রবেশ করান।

দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টায় ওই পাইপ ওপরে তোলার পর পাইপের সঙ্গে বৈদ্যুতিক লাইনের তারের স্পর্শ লাগে। এতে লোহার পাইপটি বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় ওই পাইপ ধরে রাখা দুই কর্মী মো. সবুজ ও নজরুল ইসলাম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা শ্রমিক মো. বাচ্চুও আহত হয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, নজরুল ও সবুজ ডিজিটাল সার্ভে কনসালট্যান্ট নামের একটি মাটি পরীক্ষাকারী কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তাঁরা ছমির মুন্সির হাট এলাকায় একটি ভবন নির্মাণের মাটি পরীক্ষা করতে গিয়ে ওই দুর্ঘটনার শিকার হন। খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে ওই দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এলে তাঁদের ও পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।