দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন এবং এবার দলের মনোনয়ন না পেয়েও জয় পেয়েছেন। আপনার এই জয়ের পেছনে কোন বিষয়টি কাজ করেছে বলে মনে করেন?
জয়া সেনগুপ্তা: জনগণের ভালোবাসা কাজ করেছে। আমার স্বামী (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত) দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। তিনি এখানকার মানুষের মাঝেই বড় হয়েছেন। তাঁকে তাঁরা (এলাকার মানুষ) বারবার নির্বাচিত করেছেন। তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসা আমার পক্ষে কাজ করেছে।
আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী ছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার ভাই (আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ)। এ ছাড়া দলেরও মনোনয়ন আপনি পাননি। এসব আপনাকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল কি না?
জয়া সেনগুপ্তা: না। আমি দলের মনোনয়ন পাইনি, তা অন্যভাবে বলতে গেলে ঠিক নয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী সব আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ পেয়েছি। কারণ, ৩০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে তো প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয়, তাই আমরা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছি।
যেহেতু স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছেন, লোকবল ও সমর্থন—সবকিছু মিলিয়ে জিতে আসা কীভাবে সম্ভব হলো?
জয়া সেনগুপ্তা: ভোটাররাই আমার লোকবল। তাঁরা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। তাঁরা আমার স্বামীকে অনেক ভালোবাসতেন, আমাকে ভালোবেসেছেন। ভোটে তারই প্রতিফলন হয়েছে।
আপনার আসনে ভোটারসংখ্যা পৌনে তিন লাখ। কিন্তু ভোট পড়ার হার কম। কারণ কী বলে মনে করেন?
জয়া সেনগুপ্তা: এবার কাস্টিং (ভোট প্রদান) কম হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, মানুষ ভয় পেয়েছে। আমার যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী, তিনি আগের নির্বাচনে (উপজেলা পরিষদ নির্বাচন) সহিংসতা করেছিলেন। সে জন্য হয়তো মানুষ ভয় পেয়েছে।
আপনি আওয়ামী লীগের হয়ে আগের দুবার সংসদে গিয়েছেন। এবার স্বতন্ত্র হিসেবে জিতে এসেছেন। সংসদে নিজের ভূমিকা নিয়ে নতুন কোনো চিন্তা আছে?
জয়া সেনগুপ্তা: সংসদে আমি নৌকার হয়েই যাব। আমি গত মেয়াদে বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলাম, অনেক কিছু চাইলেও করতে পারিনি। ইচ্ছা আছে যেগুলো চেয়েছি, সেগুলো এবার সম্পন্ন করার।