বিশেষ সাক্ষাৎকার: ইমোন গিলমোর

নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। ২৭ দেশের ইউরোপীয় জোটটি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোর। তিনি আয়ারল্যান্ডের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার পরিস্থিতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, নাগরিক সমাজ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রম অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাহীদ এজাজ

ইমোন গিলমোর
ছবি: প্রথম আলো
প্রশ্ন:

২০১৯ সালের মার্চে আপনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। সফর শেষে আপনি বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির তাগিদ দিয়েছিলেন। চার বছর পর আপনি গুণগত কী পরিবর্তন দেখতে পেলেন?

ইমোন গিলমোর: বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে এই সময়ে একটা পরিবর্তন এসেছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং এর স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে আমি এবারের সফরের বিভিন্ন আলোচনায় বলেছি। এবার এসে শুনেছি গত চার বছরে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের চর্চার ক্ষেত্র আরও আঁটসাঁট হয়েছে, বিশেষ করে নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্রের বিষয়টি। পাশাপাশি বাংলাদেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে চলেছে, সে সময়টায় ব্যাপক পরিসরে রাজনৈতিক বিতর্ক এবং রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার পরিবেশ সংকুচিত হয়েছে। প্রণয়নের পর থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। সে কারণে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত করার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার কীভাবে হচ্ছে, আমরা সে প্রশ্নটা তুলেছি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে সংস্কার করা হচ্ছে, সেটা উৎসাহব্যঞ্জক।

প্রশ্ন:

আপনি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের চর্চা সংকুচিত হওয়ার কথা বললেন। সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় আপনি নিশ্চয়ই প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে যে জবাব পেয়েছেন, তাতে পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?

ইমোন গিলমোর: শুধু সরকারই নয়, সব রকম অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার সময়ও বিষয়টি এসেছে। আমরা আমাদের উদ্বেগের যে বিষয়গুলো আলোচনায় এনেছি, সেখানে নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র সংকোচন, তাদের নিবন্ধন, মতপ্রকাশ, গণমাধ্যম ও সমাবেশের স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার বিষয়গুলো ছিল। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের আরও অনেক কিছু করার আছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলেছি। নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ বা স্বাধীনতা খর্ব করার ক্ষেত্রে কীভাবে এর প্রয়োগ হচ্ছে, তা বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে। আমরা সাত হাজার মামলা নিয়ে কথা বলেছি। সুনির্দিষ্ট কিছু মামলার কথা আমরা বলেছি। আমাদের বলা হয়েছে, এ আইনে সংশোধন আনা হবে। আমরা আশা করি, এই সংশোধনের মধ্য দিয়ে আইনটির প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে। আমরা অপেক্ষায় থেকে দেখব, তাতে কী পরিবর্তন আনা হয়েছে।

প্রশ্ন:

আপনি কি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিকল্পিত সংস্কারের বিষয়ে আশাবাদী?

ইমোন গিলমোর: আমি আশাবাদী। মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে নাগরিক অধিকারের চর্চার ক্ষেত্রের পরিসর আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের কাছে বড় ইস্যু। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কথা আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছি। কারণ, এই আইন গণমাধ্যমের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের কণ্ঠ রোধ করছে বলে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। ইউরোপে নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংস্কার আনার পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে আইনটি সংস্কার করার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে কী পরিবর্তন আনা হয়, তা আমরা দেখার অপেক্ষায় থাকব। আশা করি, সে সংশোধনের মধ্য দিয়ে এই আইনের প্রয়োগে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে। বিষয়টিকে তাই আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি।

প্রশ্ন:

গতবারের সফরেও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির ক্ষেত্রে শ্রম অধিকারের বিষয়টি আপনি উল্লেখ করেছিলেন।

ইমোন গিলমোর: শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রেও যে বাংলাদেশে উন্নতির প্রয়োজন, তা এবারও আলোচনায় বলেছি। শ্রম অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় না বললেই নয়। শ্রম অধিকারের চর্চা এবং অবাধ বাজারসুবিধা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পাল্টে যাচ্ছে। যে বড় পরিবর্তনটা হচ্ছে, তা হলো অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত বিনিয়োগকারী, সরবরাহকারী ও ক্রেতা—সবাই মানবাধিকারের বিষয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সচেতন। গত চার বছরে বিশ্বজুড়ে এই পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো। বিনিয়োগকারীরা যেমন তাঁদের পণ্য যেখানে উৎপাদিত হচ্ছে সেখানকার মানবাধিকার নিয়ে সচেতন, তেমনি ক্রেতারাও দেখছেন তাঁদের কেনা পণ্য যেসব শ্রমিক উৎপাদন করেন, তাঁরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন কি না। সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়ীরা শ্রমিকের অধিকার এবং কাজের পরিবেশের মতো বিষয়গুলোতে এখন অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কর্মপরিবেশ এবং শ্রম অধিকার গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে। এ নিয়ে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের জানাবোঝাটা জরুরি।

প্রশ্ন:

আপনি পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে মানবাধিকারের সম্পর্কের যে বিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন, সে হিসেবে বাংলাদেশ কি সঠিক পথে এগোচ্ছে?

ইমোন গিলমোর: অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধার বিষয়টি শর্তযুক্ত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি লক্ষ করছি। ইইউর অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা অস্ত্র ছাড়া সবকিছুর (এভরিথিং বাট আর্মস-ইবিএ) আওতায় মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকারের সব কটি আন্তর্জাতিক সনদ বাংলাদেশ অনুসমর্থন করেছে। পৃথিবী কোন পথে যাচ্ছে, মানবাধিকারের বিষয়ে বিনিয়োগকারী এবং ক্রেতার প্রত্যাশা কী, এটা অনুধাবন করতে হবে। ইইউ নতুন দুটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এর একটি হলো যে দেশে বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে, সে দেশের পণ্য ইউরোপের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে। আরেকটি পদক্ষেপ হলো ইউরোপের বাজারে পণ্য উৎপাদন করে পাঠানোর ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত করা। প্রযুক্তি আজ যেখানে পৌঁছেছে, তার ফলে শ্রমচর্চার ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক উপাদান থাকলে তা গোপন করা প্রায় অসম্ভব।

বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল লেখা উৎপাদিত পণ্য যখন বিভিন্ন দেশের তাকে রাখা হবে, সেখানে নিশ্চিত করতে হবে যে ভালো পরিবেশে ও মজুরির বিনিময়ে তা উৎপাদিত হচ্ছে। মানে বাংলাদেশে মানবাধিকার নিশ্চিত করেই পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। শুধু পণ্যের কম মূল্য এখন আর এককভাবে বাজারের চাহিদা নিশ্চিত করতে পারে না। বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও শ্রম বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গড়া প্রতিনিধিদলটি ন্যূনতম মজুরি, ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন, মাতৃত্বকালীন ছুটি, কাজের পরিবেশের মতো মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করবে।

প্রশ্ন:

পশ্চিমা দেশগুলো নানা দেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মানবাধিকারকে ব্যবহার করে থাকে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

ইমোন গিলমোর: মানবাধিকারকে আমরা সর্বজনীন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করি। এটা বিশ্বের সব নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। কোন দেশে কী ধরনের সরকারব্যবস্থা আছে বা তাদের মতাদর্শ কী, সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার পাওয়ার অধিকার আছে। প্রত্যেক মানুষ যাতে সমান অধিকার পায়, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলার মাধ্যমে সেটাই আমরা দেখতে চাই। এ বিষয়ে ইইউর নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা রয়েছে, যা এই জোটের ২৭টি দেশ মেনে নিয়েছে। সে অনুযায়ীই আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করি।

প্রশ্ন:

আপনি এমন এক সময়ে বাংলাদেশ সফর করছেন, যখন নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশ করছে। নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দল দুটি বিপরীত অবস্থানে রয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনকে কীভাবে দেখছেন?

ইমোন গিলমোর: বাংলাদেশের নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে কোনো রাজনৈতিক মতামত আমি দেব না। এটা বাংলাদেশই ঠিক করবে। তবে আমরা চাই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। এ জন্যই ইইউর প্রাক্‌-নির্বাচনী সমীক্ষা দল বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। আমরা যখন নির্বাচনের কথা বলি, তখন শুধু ভোটের দিনটির কথাই বোঝাই না, এর পূর্বাপর পরিস্থিতিও বিবেচনায় রাখি। সে কারণে নির্বাচন ঘিরে এখানকার পরিস্থিতি কেমন, সে ব্যাপারে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মিশনটি এখানে এসেছিল। এখন তাঁরা ফিরে গিয়ে ইইউর উচ্চ প্রতিনিধি জোসেফ বোরেলকে তাঁদের সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দেবেন। আমাদের মৌলিক অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।

প্রশ্ন:

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

ইমোন গিলমোর: বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমাদের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে গিয়ে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাসের জন্য বিবেচিত হতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বাণিজ্য ও শ্রম পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে একটি মূল্যায়ন প্রতিনিধিদল এখানে আসবে। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে সেই প্রেক্ষাপট থেকে দেখতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা অবশ্যই সম্ভব। রাজনীতিক প্রক্রিয়া মানেই গণতান্ত্রিকভাবে তার চর্চা হতে হবে। জনগণ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে, গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং মর্যাদার সঙ্গে তাদের ভোটাধিকারের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন।

প্রশ্ন:

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাত বছর হতে চলল। প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

ইমোন গিলমোর: আমি মনে করি, মিয়ানমারেই এ সমস্যার সমাধান হতে হবে। চার বছর আগে আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম। সেই সময় মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। মিয়ানমারের তৎকালীন সরকার আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সেখানকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আমরা এ সময়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দিইনি। আসিয়ানসহ সমমনা দেশগুলোকে নিয়ে মিয়ানমার সংকটের জন্য আমরা কাজ করছি। ইইউ মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে। তবে এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা সংকটে তহবিলের সংকটকে আমি বড় সমস্যা হিসেবে দেখি।

সমস্যাটি উদ্বেগের। রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা যে সহায়তা দিয়ে থাকি, তা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে বাড়তি তহবিলও আমরা দেব। তহবিল সংকটের সুরাহার জন্য আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কাজ করে যাব। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে অন্যান্য সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ও জাতিসংঘে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা দেখতে পাই। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়টিকে বড় অগ্রগতি বলে আমরা বিবেচনা করি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরও যে ইইউ রোহিঙ্গাদের ভুলে যায়নি, এটা মনে রাখতে হবে।

প্রশ্ন:

আপনাকে ধন্যবাদ।

ইমোন গিলমোর: আপনাকেও ধন্যবাদ।