বিদেশি কে কী বলল, তা নিয়ে আগ্রহী নই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আজ রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনছবি: প্রথম আলো

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কে কী বললেন, তা নিয়ে তিনি আগ্রহী নন, দেশি কে কী বলেছেন, সেটাতে তিনি বিশ্বাসী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আজ রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন কীভাবে নেবে, সে প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘পশ্চিমা দেশ নিয়ে আপনি (প্রশ্ন করা সাংবাদিককে) এত চিন্তিত কেন? আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস নাই? জনগণ সরকারকে ভোট দিয়েছে, এটাই তো সবচেয়ে বড়। আমরা তো জনগণে বিশ্বাস করি। আমরা কোনো পশ্চিমার ওপর বিশ্বাস…। আমরা যখন একাত্তর সালে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের সমর্থন দিয়েছিল? একমাত্র ইংল্যান্ড ছাড়া পশ্চিমা কোনো দেশ সমর্থন দেয়নি। কিন্তু আমরা তো অর্জন করেছি। দেশের জনগণ সমর্থন দিল কি না, এটাই বড় বিষয়। বিদেশি কে কী বলল, সেটা নিয়ে আমি আগ্রহী নই, দেশি কে কী বলেছে, সেটাতে আমি বিশ্বাসী।’

প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে ভোট দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি অমুক করবে, তমুক করবে। এক দিন আগে ট্রেন জ্বালাইয়া দিল। চারজন লোককে মারল। একটা আতঙ্ক ছিল। কিন্তু লোক তো ঠিকই ভোট দিয়েছে। এই প্রতিকূল পরিবেশে ভোট দিয়েছে, সমর্থন দিয়েছে।’

নির্বাচনে কোথাও কারচুপি হয়নি দাবি করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কোথাও নকল ভোট হয়নি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। কেউ বলতে পারবে না, আগে ভোট হয়ে গেছে। এক পয়সার ছাড় দেয়নি নির্বাচন কমিশন।’

মার্কিন পর্যবেক্ষকেরা সকাল ছয়টায় একটা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তখন তো কোনো লোকজন ছিল না। আমি শুনেছি, তারা এত সকালে গেছে, কেউ রাতের অন্ধকারে ব্যালট স্টাফিং করেছে কি না।'

বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বিএনপি প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিরোধী দলের সঙ্গে যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে, ভবিষ্যতে আমরা তিক্ততা কমানোর বিষয়ে কী মনে করি, সেটা তারা জানতে চেয়েছে। অন্যথায় তারা কোনো মন্তব্য করেনি। বিরোধীদের সঙ্গে তিক্ততা কমানো নিয়ে যদি ইস্যু থাকত…কারণ, বিএনপি তো কোনো ইশতেহার নিয়ে আসে নাই; যেই ইস্যুও ওপর আলোচনা করা যায়।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তাদের একটি ইস্যু, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। দুনিয়ায় এ ধরনের কোনো পদ্ধতি আছে? এগুলো হলো ইচ্ছা করে বলা যেন কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনার সুযোগ না থাকে। আমেরিকায় বাইডেন সাহেব রিজাইন করবে, তারপর নির্বাচন হবে। উনি কি রিজাইন করবেন?’

নতুন সংসদে বিরোধী দল কারা হবে, সে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা দেখি কারা জিতে আসে। আগেভাগে বলবেন কেন? আমরা এখনো ফলাফল পাইনি।’