পাঁচ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরেছে

বিদ্যুৎ না থাকায় ওষুধের দোকানে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়
ছবি: জুয়েল শীল

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে নগরের জামালখান, আন্দরকিল্লা, লাভ লেন, মাদারবাড়ি, আগ্রাবাদ, প্রবর্তক, দুই নম্বর গেট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘ সময় পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বড় এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় নগরের অনেক এলাকায় পানির সংকট দেখা দেয়। টানা লোডশেডিংয়ের ফলে তীব্র গরমে অস্বস্তিতে পড়েন লোকজন। বিভিন্ন বিপণিবিতানে বিকল্প ব্যবস্থায় জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হয়। অলিগলির দোকানগুলোতে মোমবাতি জ্বালিয়ে পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়।

নগরের লালখান বাজারের বাসিন্দা ফারজানা আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিন কয়েকবার বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ যাওয়ার পর তাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও বিদ্যুৎ না আসার বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়। পরে জানতে পারি জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ায় বিদ্যুৎ নেই। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে তিন বছরের ছেলের খুব কষ্ট হয়।’

আকস্মিক এই বিপর্যয়ের কারণে দুর্গাপূজার মণ্ডপে বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক মন্দিরে জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়।

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম নগর পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন বলেন, দুর্গাপূজার সময় কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। দীর্ঘ সময় পরও বিদ্যুৎ না আসায় বিভিন্ন মন্দির কমিটির লোকজন ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চান। বিদ্যুৎ না থাকায় দুপুরেই মন্দিরগুলোতে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময় দুর্ভোগ দেখা দেয়। কিছু কিছু মন্দিরে বিকল্প হিসেবে জেনারেটর থাকলেও সব মন্দিরে তা ছিল না।

বিদ্যুৎ না থাকায় নগরের সড়কবাতিও জ্বলেনি। এতে বিভিন্ন সড়ক অন্ধকার হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন দাশ বলেন, সিটি করপোরেশনের সড়কবাতি পিডিবির সরবরাহ করা বিদ্যুতে জ্বলে। জাতীয় গ্রিডের বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বাতিও জ্বলেনি।             

আরও পড়ুন