কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নিহতদের স্মরণে দেশে আজ শোক

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষের চিত্র। এমন সংঘর্ষ হয়েছে দেশের নানা জায়গায়ফাইল ছবি: প্রথম আলো

কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন ঘিরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার সারা দেশে শোক পালন করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। আর নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

সরকারি  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ৩০ জুলাই সারা দেশে শোক পালন করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত রোববার বলেছিলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যুর সংবাদ তাঁদের হিসাবে রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল, বিভিন্ন জেলা এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা যে তথ্য পেয়েছেন, তার সংখ্যা এটি (১৪৭ জন)।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার ১৪৭ জনের মৃত্যুর কথা বলেছিলেন। আরও তিনজন যোগ হয়েছে। এই নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৫০।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জুলাই রাতে সাংবাদিকদের কাছে নিহত ব্যক্তিদের একটি তালিকা পাঠান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান। তবে নিহত ব্যক্তিদের সে তালিকায় ৬৬ জনের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ২১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া।