আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আওয়ামী লীগের আরও একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এবং তিনটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করতে বলেছে কমিশন। রোববার কমিশন এসব নির্দেশনা দিয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম–১৬ আসনে (বাঁশখালী) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করতে বলেছে ইসি।
গত ৩০ নভেম্বর শোডাউন (মহড়া) করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান মোস্তাফিজুর রহমান। সেদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার পর আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। তখন মোস্তাফিজুর রহমান প্রশ্নকারী ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনের দিকে তেড়ে যান এবং তাঁকে মারধর করেন। এ সময় মোস্তাফিজের সঙ্গে থাকা লোকজন অন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন। চট্টগ্রাম জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরাও তাঁদের হাতে লাঞ্ছিত হন। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দোতলা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের টেনেহিঁচড়ে নিচতলা পর্যন্ত নিয়ে যান মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর কর্মীরা।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার ভিত্তিতে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন।
আবদুল হাইয়ের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মহাসড়কে মহড়া দেন ও জনমনে ভীতির সঞ্চার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসি সূত্র জানায়, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলপুরের ইউএনওকে প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাদারীপুরের কালকিনি থানা, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা ও তারাকান্দা থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে বলেছে ইসি। জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রোববার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।