অবস্থান তুলে ধরতে এবং কী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে আইনি নোটিশ

নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন বলে ওঠা অভিযোগ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়ার নিজের অবস্থান তুলে ধরতে এবং ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া বরাবর আজ বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং ই–মেইলের মাধ্যমে ওই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে ‘চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সচিবের নির্বাচনী প্রচার’ শিরোনামে ৫ জুলাই একটি দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের বক্তব্যের ভিডিও নোটিশদাতার নজরে এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই বিষয়ে নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াকে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সচিব খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জানাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে মাহবুবুর রহমান খান বলেছেন, ওই সংবাদ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া আগামী নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ঈদুল আজহার ছুটিতে নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি (খাজা মিয়া) তার সম্ভাব্য নির্বাচনী এলাকায় কয়েকটি পথসভা ও উঠান বৈঠক করেছেন। ৩০ জুন একটি পথসভায় তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, নড়াইল–১ আসনে তিনি উন্নয়নের জোয়ার দেখেন না।

অবসর বা পদত্যাগের পর তিন বছর শেষ না হলে কোনো সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। তিন বছরের আইনি বার তুলে দিতে করা ‘মামলার রায় হয়তো আমাদের পক্ষে আসবে, আমরা আশা করছি’, ‘ইতিমধ্যে আমরা সব প্রকার যোগাযোগ স্থাপন করেছি’ এবং ‘আমরা রায় পাব’—সচিবের এমন কথোপকথন নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ওই কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ২৫(২) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন এবং দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা স্পষ্টতই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।