এমআরসিপির ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য আর বিদেশ নয়, দেশেই হচ্ছে কেন্দ্র
এমআরসিপির ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের শিক্ষার্থীদের আর বিদেশে যেতে হবে না। দেশেই এই পরীক্ষার কেন্দ্র হতে যাচ্ছে। আগামীকাল শনিবার থেকে দুই দিন দেশের একটি হাসপাতালে এই পরীক্ষার মহড়া হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ানসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিডিএস) প্রতিনিধি, এভারকেয়ার হাসপাতালের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, মেম্বারশিপ অব রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স (এমআরসিপি) অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষা। ২০১২ সাল থেকে এ দেশের চিকিৎসকেরা লিখিত পরীক্ষা এ দেশেই দেন। কিন্তু ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার কোনো উপযুক্ত কেন্দ্র এ দেশে ছিল না। এ দেশের চিকিৎসকেরা এমআরসিপির ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভারত, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা বা যুক্তরাজ্যে যান।
রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্সের আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দেশের পরীক্ষার্থীদের বিদেশে গিয়ে পরীক্ষা দিতে কয়েক লাখ টাকা খরচ হতো। যাওয়া–আসা, থাকা–খাওয়ার নানা খরচ। বিশেষ করে নারী পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বামী বা কোনো অভিভাবক যাওয়ার দরকার পড়ত। এসব কারণে অনেকে পরীক্ষায় অংশ নিতেন না। দেশে কেন্দ্র হওয়ার মধ্য দিয়ে এই সমস্যার অবসান ঘটবে।’
কেন্দ্র হিসেবে বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারকে বেছে নেওয়া হলো কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্সের প্রতিনিধিরা বলেন, এমআরসিপি ব্যবহারিক পরীক্ষা কেন্দ্রের মান যুক্তরাজ্য, ভারতসহ সব স্থানে একই হতে হবে। এভারকেয়ার ছাড়া বাংলাদেশে এমন মানসম্পন্ন হাসপাতাল একটিও নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য হাসপাতালের পরিবেশ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। ভবিষ্যতে উপযুক্ত হাসপাতাল পাওয়া গেলে ব্যবহারিক পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ানো হবে।
আগামীকাল শনিবার ও পরদিন রোববার বাংলাদেশের ১৪ জন অধ্যাপককে ব্যবহারিক পরীক্ষার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিশেষজ্ঞরা। এই ১৪ জন অধ্যাপক বিসিপিএসের সদস্য। অধ্যাপকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ব্যবহারিক পরীক্ষার মহড়া হবে।
প্রকৃত ব্যবহারিক পরীক্ষা কবে হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হওয়ার সুযোগ আছে। ওই পরীক্ষায় ৯০ জন চিকিৎসক অংশ নিতে পারবেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. টিটু মিয়া বলেন, ‘এই পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের চিকিৎসাশিক্ষার মান উন্নত হবে।’
যুক্তরাজ্য ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুরে এমআরসিপি পরীক্ষার কেন্দ্র আছে। ভারতে কেন্দ্র আছে ১০টি।