নির্বাচন সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করার দাবি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের
নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি বলছে, নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকে। তাই নির্বাচনে যেন সহিংসতা না হয়।
আজ সোমবার সকালে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচারে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যদি কোনো প্রার্থী, কোনো দল বা জোট নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করে, তবে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ধর্মীয় উপাসনালয় নির্বাচনের প্রচারকাজে ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, বিবৃতি, মিথ্যা এবং গুজব প্রচার বা এ ধরনের যাবতীয় প্রচারণা চালালে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা চিহ্নিত করে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাব-বিজিবির নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকাগুলোয় বিজিবি-র্যাবের টহলের ব্যবস্থা করার দাবিও জানিয়েছে তারা।
নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক ও সংখ্যালঘু স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দিতে আহ্বান জানান রানা দাশগুপ্ত।
নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলেও জানান রানা দাশগুপ্ত।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির আরেক সভাপতি নির্মল রোজারিও, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন কর্মকার, সঞ্জীব দ্রং, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।