রেলে দ্বিতল কোচ যুক্ত হোক, চায় সংসদীয় কমিটি

ট্রেন
ফাইল ছবি

রেলের যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশ রেলওয়েতে দ্বিতল (ডাবল ডেকার) কোচ সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, এর আগেও সংসদীয় কমিটি রেলওয়েকে দ্বিতল কোচ সংযোজন করতে বলেছিল। আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেলওয়ের ৩০ বছর মেয়াদি যে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে দ্বিতল কোচ সংযোজনের কথা নেই। পরে কমিটি এ বিষয় পরিকল্পনায় যুক্ত করার সুপারিশ করে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ঢাকা বৃত্তাকার রেললাইন নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে স্থায়ী কমিটি।

সূত্র জানায়, এর আগের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তখন রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃত্তাকার রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে একটু সংশয় রয়েছে। প্রকল্পটি ছিল যৌথ প্রকল্প, যেখানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বৃত্তাকার রাস্তা তৈরি করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ তৈরি করবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে বৃত্তাকার রেলপথ তৈরি করবে। প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্ব ছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণের প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ফেরত দেওয়া হয়। ভূমি অধিগ্রহণের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হলে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পও বাস্তবায়িত হবে না।

সূত্র আরও জানায়, বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। পরে কমিটি তিনটি মন্ত্রণালয়কে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের সুপারিশ করে। এ বিষয়ে আজকের বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ–সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সংসদীয় কমিটি একাধিকবার সুপারিশ করলেও রেলপথ মন্ত্রণালয় তাদের অব্যবহৃত জমিতে বৃক্ষরোপণ না করায় কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, রেলওয়ের এত জমি থাকার পরও কেন গাছ লাগানো হয়নি, তা জানতে চায় কমিটি।

সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ৬৪ হাজার একর জমিতে বৃক্ষরোপণের নির্দেশনা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়া চট্টগ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক ইউরোপীয়ান ক্লাব ও রেলওয়ে জাদুঘর যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সুপারিশ করা হয়।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম, মো. শফিকুল আজম খান, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন বৈঠকে অংশ নেন।