হাদি হত্যার বিচারে ২৫ দিনের আলটিমেটাম ‘মঞ্চ ২৪’-এর, চার দফা দাবি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল খুনিকে গ্রেপ্তার ও ২৫ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘মঞ্চ-২৪’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। শহীদ হাদি হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন।
মঞ্চ-২৪ এর আহ্বায়ক ফাহিম ফারুকী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের ভাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যে ধরনের নমনীয় সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমরা মনে করি—আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধের চেতনার বিপরীতে গিয়ে এই সরকার আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসনের ভেতরে ঢুকে গেছে। সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই অবস্থানকে আমরা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত মনে করি না।
ফাহিম ফারুকী আরও বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার এই মহাবিপ্লব সবচেয়ে বেশি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিকভাবে ধারণ করেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। তাঁর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার থেকে শুরু করে আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াইয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম ছিল। এই কার্যক্রমটা যদি আরও দীর্ঘমেয়াদি করা যেত, আমরা মনে করি বাংলাদেশে আধিপত্যবাদের কোনো আস্তানা গেড়ে বসতে পারবে না। দিল্লির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ছিল যে, শরিফ ওসমান হাদি বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতিকে ধারণ করে সত্য এবং ইনসাফের পক্ষে লড়াই করে গেছেন। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচার ও খুনি ফয়সালকে যদি গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে অপরাধী চক্র মনে করবে যে সব নেতাকে যদি হত্যাও করা হয়, তাতে এই সরকার তাদের বিপরীতে কোনো পদক্ষেপ নেবে না। সে জন্য প্রত্যেক জুলাইয়ের নেতৃবৃন্দ এখন হুমকির মুখে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে ফাহিম ফারুকী চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, এক. শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মূল খুনি ও সম্পূর্ণ সহযোগী চক্রকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ২৫ দিনের মধ্যে বিচারকাজ সমাপ্ত করতে হবে।
দুই. নির্বাচনের আগে গোয়েন্দা সংস্থার কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে এবং সেখানে অবস্থানরত সব ভারতীয় গুপ্তচরকে চিহ্নিত করতে হবে।
তিন. গণমাধ্যমে লুকিয়ে থাকা দেশবিরোধী ও বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
চার. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয় নাগরিকের ওয়ার্ক পারমিট পুনর্মূল্যায়ন করে বাতিল করতে হবে। ভারত যদি তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে।