নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে: হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার মিলনায়তনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী জসিম ও নুরুল করিম বেবি চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। তবে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি, সেটা বলতে চাই না। কারণ, এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয় নয়। তবে আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক ও জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ ২০১০ সালে ছিনতাই হয়েছিল। সেটিকে মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। তাঁদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আশা করছেন, অতীতের মতো এবারও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে পারবেন।

মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।

এদিকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলার কারণে আবারও ১৪৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইতিপূর্বেও মিয়ানমারের এ ধরনের কিছু নাগরিক আমাদের দেশে এসেছিল। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের যেভাবে ফেরত পাঠিয়েছি, এবারও তাদের একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।’