রাষ্ট্র কেন শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেনফাইল ছবি

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে মো. আমির হোসেনের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। ভিডিওতে ট্রাইব্যুনাল ও আমির হোসেনের একটি কথোপকথন রয়েছে, তাঁকে হাসতেও দেখা যাচ্ছিল। তা দেখে তাঁর সমালোচনা করেন অনেকে।

আমির হোসেন দাবি করেন, মামলার বিচার কার্যক্রমের একটি অংশকে অসাধু ইউটিউবাররা বাজেভাবে উপস্থাপন করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ (নিয়ন্ত্রিত আদালত) তিনি মনে করেন না এবং এই ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিরপেক্ষতা নিয়েও তাঁর মধ্যে কোনো সংশয় নেই, এমনটাও বলেন এই আইনজীবী।

আমির হোসেনকে নিয়ে এই আলোচনা অনেকের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে, জুলাই অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়ে দেশছাড়া শেখ হাসিনার পক্ষে এই আইনজীবী কীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন? আসামি শেখ হাসিনা কোন প্রক্রিয়ায় এই আইনি সুবিধা পেলেন? এই আইনজীবীর কাজ কী? তাঁর খরচই–বা কে জোগাচ্ছে?

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের বিচার চলছে।

তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন কেবল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। নিজের অর্থে যায়েদ বিন আমজাদকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমির হোসেন। শেখ হাসিনা কিংবা আসাদুজ্জামান তাঁকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেননি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এই দুই পলাতক আসামির পক্ষে তাঁকে ‘ডিফেন্স কাউন্সেল’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর এটিই একমাত্র মামলা, যেটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। ১৩ নভেম্বর জানা যাবে এ মামলার রায় কবে হবে। প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষ) পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছে এবং সাবেক আইজিপি মামুনের বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে খালাস দিতে আবেদন করেন তাঁদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী আমির।

শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি: বাসস

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কী, কেন দেওয়া হয়

মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো আসামির আইনজীবী না থাকলে ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁর জন্য আইনজীবী ট্রাইব্যুনালই দিয়ে থাকেন। সহজ ভাষায়, এটিই রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। বিচারিক প্রক্রিয়ায় এটি একটি প্রচলিত আচার।

মামলার একটি বিশেষ পর্যায়ে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় গত ২ জুন ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হয়। সেদিনই ট্রাইব্যুনাল এটি আমলে নিলে তা মিস কেস (বিবিধ মামলা) থেকে রূপান্তরিত হয়। একই দিন ট্রাইব্যুনাল এ মামলার পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং ১৬ জুন হাজির করার নির্দেশ দেন।

১৬ জুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পারেনি। সেদিন এই আসামিদের আত্মসমর্পণ করতে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তার পরদিন দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়।

ভারতে থাকা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান দেশে এসে আত্মসমর্পণ করেননি। এই পর্যায়ে এসে তাঁদের জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ১২ নম্বর ধারার শিরোনাম ডিফেন্স কাউন্সেলের (রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী) বিধান। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, যেখানে একজন অভিযুক্তকে কোনো আইনজীবী যদি প্রতিনিধিত্ব না করেন, ট্রাইব্যুনাল মামলার যেকোনো পর্যায়ে সরকারি খরচে সেই অভিযুক্তের পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন এবং তাঁকে (আইনজীবী) কী পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে, তা–ও নির্ধারণ করতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল।

পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে তাঁর পক্ষে আইনি লড়াই চালাতে আইনজীবী নিয়োগ করেন ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময়ও পলাতক আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিল।

এবার শুধু শেখ হাসিনার এ মামলা নয়, ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলায়ও আসামি পলাতক থাকায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেমন রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন পলাতক। এই পলাতক ২৪ আসামির জন্য চারজন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার থাকার পরও যেকোনো কারণেই হোক, আইনজীবী নিয়োগ না দিলে বা না দিতে পারলে সে ক্ষেত্রেও ট্রাইব্যুনাল নিয়োগ দিতে পারেন।

ট্রাইব্যুনাল আইনে পলাতক বা অনুপস্থিতের বিচারের (ট্রায়াল ইন অ্যাবসেনশিয়া) বিষয় উল্লেখ আছে। ১০ নম্বর ধারার এক উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো (মামলায়) কার্যধারা শুরু হলে ট্রাইব্যুনাল বিচারের জন্য দিন (সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষী উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারণ) ধার্য করার আগে যদি মনে করেন যে অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছেন বা নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন, যাতে তাঁকে বিচারের জন্য উপস্থিত করা যায় না, তাহলে ট্রাইব্যুনাল তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচার পরিচালনা করতে পারবেন।

আমির হোসেন কে

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে প্রথমে আমিনুল গনিকে (টিটু) রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। বিতর্কিত এক ফেসবুক পোস্টের কারণে তাঁর পরিবর্তে গত ২৫ জুন আমির হোসেনকে নিয়োগ করা হয়।

আমির হোসেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর তাঁর সেই নিয়োগ হয়েছিল। গত বছর গণ–অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নিয়োগ দেওয়ার আগপর্যন্ত তিনি বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন।

আমির হোসেন ইসলামী ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী এবং সিটি ব্যাংকের বিশেষ আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায়। ঢাকা ল কলেজ থেকে এলএলবি সম্পন্ন করার পর ১৯৮৭ সালে তিনি আইনজীবী সনদ পান। ওই বছরই তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন।

আমির হোসেনকে নিয়োগের পর গত ১২ আগস্ট শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তবে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেদিন ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা ওভার (শেষ)।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কী করতে পারেন, কী পারেন না

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি সে মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন, সাক্ষীদের জেরা, যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণসহ অন্যান্য শুনানি করেন তিনি।

আসামি পলাতক থাকলে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পলাতক হওয়ায় মক্কেলদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই। মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যেসব কাগজপত্র ব্যবহার করেছে, তাই তাঁকেও ব্যবহার করতে হচ্ছে। আসামিপক্ষে তিনি কোনো সাক্ষীও হাজির করেননি। রায় যদি তাঁর বিপক্ষে যায়, আসামিরা পলাতক হওয়ায় আপিল বিভাগেও যেতে পারবেন না তিনি।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুই ধরনের (পলাতক ও গ্রেপ্তার) আসামির জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া যায়। যিনি পলাতক আছেন, তাঁর পক্ষে কোনো নথিপত্র দাখিলের সুযোগ নেই। সাক্ষী দেওয়া যাবে না। আপিলও করা যাবে না।

মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, আর আসামি গ্রেপ্তার হয়ে উপস্থিত আছেন, কিন্তু আইনজীবী দেওয়ার সামর্থ্য নেই; তাঁর পক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ডকুমেন্টস (নথিপত্র) দিতে পারবেন। সাক্ষী দেওয়া, আপিলে যাওয়াসহ সব করতে পারবেন তাঁর আইনজীবী।

আরও পড়ুন

কীভাবে, কত অর্থ দেওয়া হয়

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীদের ফি বা সম্মানী রাষ্ট্রের তরফে সরকার দেয়। ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই অর্থ রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত কোনো মামলার বিচারকাজ শেষ হলে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বিল করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। সরকারের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে সেই বিল পরিশোধ করে রেজিস্ট্রার কার্যালয়।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয় প্রথম আলোকে জানিয়েছে, রুল ৬০(৮) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের হিসাব শাখায় বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে খরচ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। মূলত এখান থেকেই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীদের ফি পরিশোধ করা হয়ে থাকে।

যদিও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে কী হারে অর্থ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আইনে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। তবে আইনে উল্লেখ আছে, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর ফি বা সম্মানী কত হবে, তা নির্ধারণ করবেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয় জানিয়েছে, প্রথম দিকের বেশ কয়েক বছর ট্রাইব্যুনাল সুবিবেচনাপ্রসূতভাবে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীদের ফি বা সম্মানী দিতেন। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করেন। তারপর এই ফি ২০২২ সালের ১৯ মে পুনর্নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। সেই হার এখনো বহাল আছে।

আরও পড়ুন

সেই হার অনুযায়ী, মামলার শুনানির দিন অংশ নিলে ৬ হাজার টাকা পাবেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। তিনি অভিযোগের শুনানিতে অংশ নিলে পাবেন ১০ হাজার টাকা। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর জেরায় অংশ নিলে ৬ হাজার টাকা; একই দিন রাষ্ট্রপক্ষের অন্য সাক্ষীর জেরায় অংশ নিলে ৩ হাজার টাকা; আসামিপক্ষের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অংশ নিলে ৫ হাজার টাকা; যুক্তিতর্কে অংশ নিলে ১৫ হাজার টাকা; যেকোনো আদেশের দিন অংশ নিলে ৬ হাজার টাকা; রায় ঘোষণার দিন অংশ নিলে ১০ হাজার টাকা হারে অর্থ পেয়ে থাকেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী; অর্থাৎ একটি মামলার বিচারকাজে যত দিন অংশগ্রহণ করবেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী, তত দিনের ভিত্তিতে অর্থ পাবেন তিনি।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ২০১৩ সালের একটি মামলায় একজন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী সর্বমোট পেয়েছিলেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০২১ সালের আরেকটি মামলায় একজন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী পেয়েছিলেন ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা।