এক মাস না যেতেই আবার সচিব সভা 

  • সচিব সভা বছরে সাধারণত দুবার হয়।

  • সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। 

  • এবারের সভায় আলোচ্যসূচি তিনটি। 

ফাইল ছবি

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক মাসের ব্যবধানে আবার সচিব সভা ডেকেছে। আগামী সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন সম্প্রতি দায়িত্ব নেওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। 

সভায় কোনো প্রতিনিধি না পাঠিয়ে সরাসরি সচিবদের উপস্থিত হতে সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সচিব পদমর্যাদায় কর্মকর্তা রয়েছেন ৮৫ জন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সভাপতিত্ব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণত বছরে দুবার সচিব সভা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। 

আরও পড়ুন
সোমবার সচিব সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতিত্ব করবেন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। 

এক মাসের ব্যবধানে আবার সচিব সভা ডাকার কারণ জানতে চাইলে একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। মূলত প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শন ও সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সচিবদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্যই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সামসুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে সচিব সভায় যেসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য এই সভা ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়গুলোতে কত জনবল ও কত পদ শূন্য আছে, তা নিয়েও আলোচনা হবে।

১৮ ডিসেম্বর কবির বিন আনোয়ার মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ছিলেন। 

তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। ১৫ ডিসেম্বর খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অবসরোত্তর ছুটিতে যান। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সচিব সভার জন্য তিনটি আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে—এক. প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শন বাস্তবায়নে সচিবদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা। দুই. প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শূন্য পদে নিয়োগ। তিন. পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা। 

সূত্র জানায়, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কতসংখ্যক শূন্য পদ আছে, সে–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সচিব সভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শূন্য পদসংখ্যার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সচিব সভার চিঠি পেয়েছেন। এখন তাঁদের মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থায় কতটি শূন্য পদ আছে, সেসব তথ্য সংগ্রহ করছেন। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে জানান, মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রায় চার লাখ পদ শূন্য রয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী সচিবদের ১২টি নির্দেশনা দেন। সেই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে চলমান সংকটে দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে যুবসমাজকে গড়ে তুলতে কার্যকর পদক্ষেপ, বিলাসী ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা, বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বিদ্যুৎ–সংকট এড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা, নতুন নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনে সতর্কতা ইত্যাদি।