জামিন পেলেন ‘বালুখেকো’ সেলিম

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চাঁদপুরের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান আজ রোববার এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেলিম খানের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত বছরের ১২ অক্টোবর সেলিম খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আজ তাঁর জামিন আবেদন বিষয়ে শুনানি হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে জামিন আবেদন নাকচ করার আবেদন জানানো হয়।

আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা মুচলেকায় সেলিম খানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সেলিম খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আট বছর ধরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলেছেন তিনি। এ ছাড়া প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে কারসাজি করে সরকারের কয়েক শ কোটি টাকা লোপাটের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এসব বিষয়ে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে সরকারের বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি করার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা।

গত বছরের ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, সেলিম অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সেলিম যে সম্পদের বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসংগতি পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন

ওই মামলায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সেলিম খানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এ সময়ের মধ্যে তাঁকে ঢাকার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন। একই সঙ্গে আসামিকে ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দেন।

আরও পড়ুন

এরপর গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সেলিম খান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১২ অক্টোবর জামিনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রেখেছিলেন। আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন