বিএনপির চার শতাধিক নেতা–কর্মীর আগাম জামিন

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

দলীয় কর্মসূচির সময় সরকারি কাজে বাধা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে করা পৃথক মামলায় চার শতাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। আগাম জামিন চেয়ে তাঁদের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।

আগাম জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় আজ আদালতে প্রাঙ্গণে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়। আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁরা আগাম জামিন চান। নারায়ণগঞ্জে করা পৃথক মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নূরুল হুদা, গোলাম রাজীব ও রাশেদুল হক। ঢাকা ও চট্টগ্রামে করা পৃথক মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।

চট্টগ্রামের দুই থানায় করা দুটি মামলায় ১৬ জন এবং ঢাকার দুটি থানায় করা ছয়টি মামলায় ৩০ জন নেতা-কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন বলে জানান তাঁদের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আটটি জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৬ জন নেতা-কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ-পরবর্তী সময়ে এ মামলাগুলো করা হয়।

এর আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে করা প্রায় ২৫টি মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনসহ সাড়ে চার শ বিএনপির নেতা-কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন বলে জানান তাঁদের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আগাম জামিন চেয়ে পৃথক ৬২টি আবেদন করা হয়েছিল। সরকারি কাজে বাধা, নাশকতা সৃষ্টি, ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।

জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ১০০টির মতো আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন জেলায় করা অধিকাংশ মামলায় আবেদনকারীদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরপর তাঁদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।