নীতিমালা ছাড়া নজরদারি প্রযুক্তির ব্যবহারে ভিন্নমত দমনের আশঙ্কা থাকবে: আর্টিকেল নাইনটিন

সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া বিতর্কিত প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি নাগরিকের বাক্‌স্বাধীনতা ও ভিন্নমত দমনে ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব কথা জানায় তারা।

আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেআইনি নজরদারি করার অভিযোগ আছে। একাধিক ঘটনায় নাগরিক অধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতারাসহ সাধারণ নাগরিকের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা মানুষের মধ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে ভিন্নমত, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষসহ সাধারণ নাগরিকদের দমন করার জন্য আড়ি পাতার বেআইনি ও যথেচ্ছ ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমন প্রেক্ষাপটে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া মোবাইল, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধি করতে সরকারের সাম্প্রতিক উদ্যোগ নাগরিকের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনযাপন, যোগাযোগ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্নমত পোষণ, সুনাম, গোপনীয়তা, জীবন, সম্পদের অধিকারসহ একাধিক সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের উদ্যোগ মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারও করবে।

নজরদারি কার্যক্রম ঢালাওভাবে করা যায় না উল্লেখ করে ফারুখ ফয়সল বলেন, আইনে উল্লিখিত সুনির্দিষ্ট কারণে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কার্যক্রম একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নজরদারি করা যায়। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের অধীনে পরিচালিত নজরদারি কার্যক্রম আইনানুযায়ী ও স্বচ্ছতার সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রয়োজনে হচ্ছে কি না, তা তদারকির জন্য স্বাধীন তদারকি সংস্থা প্রয়োজন।

আর্টিকেল নাইনটিন সরকারকে নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।