১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় দিনে ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামফাইল ছবি

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক প্রায় ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এসব বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের (পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা) মাধ্যমে দূষণ রোধসহ সম্পদে রূপান্তর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোর উৎপাদিত মোট বর্জ্যের ৩৯ শতাংশ ঢাকা শহরে (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে দৈনিক ৩ হাজার ২১৩ টন এবং উত্তরে ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৬০০ টন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের অর্থায়নে আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে (বর্জ্যের ভাগাড়) বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৩টি প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব নির্বাচন করা হয়েছে। বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে পাওয়া প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান আছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, মেডিকেল বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট (বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থা) স্থাপন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকাতেও মেডিকেল বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বিডার (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টাল’-এর মাধ্যমে মোট ৫৩৬টি বিদেশি কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৮টি জয়েন্ট ভেঞ্চার (যৌথ উদ্যোগ) এবং শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি ২৬৮টি।