নতুন শিক্ষাক্রম জ্ঞান-বিজ্ঞান ধ্বংস করবে: ছাত্র ফ্রন্ট

৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা–কর্মীরা। ঢাকা, ২৩ জানুয়ারিছবি: সংগৃহীত

২০২১ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমকে ‘জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মনুষ্যত্ব ধ্বংসের শিক্ষাক্রম’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী)। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্বকে খর্ব করা হয়েছে। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার সর্বজনীন অধিকার থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে, ঝরে পড়ার হার বাড়বে এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মনুষ্যত্ব ধ্বংস করবে।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্র ফ্রন্টের সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা। গত ২১ জানুয়ারি ছিল ছাত্র ফ্রন্টের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে এই ছাত্র সমাবেশ করে বাসদ (মার্ক্সবাদী)–সমর্থিত ছাত্র ফ্রন্ট।

সমাবেশে অংশ নিয়ে বাসদের (মার্ক্সবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, বর্তমান সরকার গায়ের জোরে তাদের মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়ে দেশে একটা ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। অনুরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগ তাদের দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে। এ থেকে মুক্ত হতে হলে ছাত্রদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন।

ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, শাসকেরা জানে জনগণের অজ্ঞতাই শাসক শ্রেণির ক্ষমতার উৎস। শিক্ষার্থীরা যেন নৈতিকতা-মনুষ্যত্ব নিয়ে দাঁড়াতে না পারে, তার জন্য তাদের নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার নানা আয়োজন চলছে। ছাত্র ফ্রন্ট শাসক শ্রেণির এই চক্রান্তকে রুখে দেবে।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, সরকার একটা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ চালু করেছে। এই শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, এই শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্বকে খর্ব করা হয়েছে। এই শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার সর্বজনীন অধিকার থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে, ঝরে পড়ার হার বাড়বে, শিক্ষা–সংস্কৃতি ও মনুষ্যত্ব ধ্বংস করবে। তাই অবিলম্বে এই শিক্ষাক্রম বাতিল করে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষকে যুক্ত করে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে হবে।

ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক অরূপ দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম বক্তব্য দেন। সমাবেশের পর ক্যাম্পাসে মিছিল করেন ছাত্র ফ্রন্টের নেতা–কর্মীরা।