শাহবাগে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৫

হামলায় আহত ছাত্রদল নেতা শরীফুল প্রধান
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে চায়ের দোকানে আড্ডারত ছাত্রদলের কয়েক নেতা-কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। হামলায় ছাত্রদলের পাঁচ নেতা আহত হয়েছেন।

ছাত্রদলের আহত নেতাদের ধারণা, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন। তবে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান ছাত্রদলের নেতারা। তাঁদের তথ্যমতে, হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদির শাহ পাটওয়ারী, সহসাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান আহমেদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শরীফুল প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখার সভাপতি সোহেল রানা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন। তাঁরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন বলে জানায় ছাত্রদল।

ঘটনা সম্পর্কে আহত ছাত্রদল নেতা শরীফুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। পাশের আরেকটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী ছিলেন। চায়ের দোকানে তাঁর সঙ্গে আমার কুশলবিনিময় হয়। এর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ৮-১০টি মোটরসাইকেলে করে একদল যুবক চায়ের দোকানে এসে আমার পরিচয় জানতে চান। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন পরে এসে যুক্ত হন। একপর্যায়ে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করেন। হামলায় আমিসহ ছাত্রদলের পাঁচজন আহত হয়েছেন।’

হামলাকারীদের চিনতে পারেননি বলে জানান শরীফুল। তবে তাঁর ভাষ্য, হামলাকারীদের কয়েকজনের গায়ে থাকা জার্সিতে স্যার এ এফ রহমান হলের নাম লেখা ছিল। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা আল মামুনের পরিকল্পনায় তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে তাঁদের ধারণা।

শরীফুলের যুক্তি, আল মামুন স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্র ছিলেন। হামলাকারীদের পরনে এ হলের নাম লেখা জার্সি ছিল। তাঁরা চায়ের দোকানে এসে তাঁর (শরীফুল) নাম ধরে পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন।

আল মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক উপসম্পাদক। শরীফুলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমাদের একটি কর্মসূচি ছিল। সেটি শেষ করে আমি চলে এসেছি। এ ছাড়া আমি অনেক আগেই স্যার এ এফ রহমান হল ছেড়েছি।’

হামলায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।