নদীদূষণ রোধে সচেতনতা বাড়াতে ‘নদী কথন’

নদী কথন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অতিথিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের কাউন্দিয়ায় তুরাগ নদীর পাড়ে
ছবি: সংগৃহীত

নদীদূষণ রোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ‘নদীকেন্দ্রিক জীবন ও জীবিকা’ শীর্ষক অষ্টম নদী কথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের কাউন্দিয়ায় তুরাগ নদীর পাড়ে এ আয়োজন বসে। নদী কথন–এর আয়োজন করে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম। 

কনসোর্টিয়ামের প্রধান শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় নদী কথনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেইন, আমিন বাজার ব্রিজঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী, মাঝি নিত্য বাবু রাজবংশী প্রমুখ। 

এ সময় শরীফ জামিল বলেন, ‘নদী রক্ষা করা না গেলে নদীমাতৃক দেশকেও রক্ষা করা যাবে না। নদীদূষণ প্রতিরোধ করতে হবে এবং নদীকেন্দ্রিক জীবিকা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে। নদী রক্ষায় গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নদীপাড়ের মানুষদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ তাঁরা ভুক্তভোগী। তাঁরা নদী রক্ষার জন্য সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।’ 

নদীকেন্দ্রিক জীবন ও জীবিকার বিষয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘নগরায়নের একটি সেবা হল মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করা, যা মূলত জেলে সম্প্রদায় করে থাকে। কিন্ত জেলেরা বছরে আট মাস বেকার থাকছেন। কারণ দূষণের ফলে নদীতে মাছ নেই। জেলে সম্প্রদায়কে উন্নয়ন পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করা ও তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে আলোচনায় এনে উন্নয়ন পরিকল্পনা করলে নদীকেন্দ্রিক জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা সম্ভব।’ 

মো. মনির হোসেন বলেন, ‘নদীদূষণের কারনে মানুষের জীবিকা হারিয়ে যাচ্ছে, জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণায়ের সঙ্গে মাঝি সংগঠনের মধ্যে একটি কার্যকর পার্টনারশীপ তৈরির মাধ্যমে নদীকে দূষণের কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে নদীর ওপরে গণমানুষের যে অধিকার তা নিশ্চিত করতে হবে।’