আরও একটি মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবীরসহ পাঁচজনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও তিনজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের স্টেনোগ্রাফার সোহানুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর সাত আসামি হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক; মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ; সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান; প্যারাগন নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম (রাজা) ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন।

এর আগে ঋণ জালিয়াতির আরও চারটি মামলায় হুমায়ুন কবীরসহ নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ দেওয়া রায়ের তথ্য বলছে, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীর, আসামি সাইফুল ইসলাম রাজা, আবদুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল হাসান ও ননী গোপাল নাথকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।

অপর দিকে আসামি সফিজ উদ্দিন আহমেদ, কামরুল হোসেন খান ও মাইনুল হককে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।

আসামিদের মধ্যে মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রপ্তানির নামে সোনালী ব্যাংকের ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ব্যাংকটির সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে ২০১৪ সালের ২২ মে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আর আদালত ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে ঋণ জালিয়াতির আরও চারটি মামলায় হুমায়ুন কবীরসহ নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।