উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল মাইলস্টোনে

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটিফাইল ছবি

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তার কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।

ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় তিনি যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।

গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হন, এর ২৮ জনই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।

ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

প্রেস সচিব জানান, তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। কমিটি ১৬৮টি তথ্য উদ্‌ঘাটন করেছে এবং ৩৩টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে প্রধান সুপারিশ হলো জননিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে বিমানবাহিনীর সব প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে পরিচালিত হবে।

তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব জানান, মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটি রাজউকের বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অনুমোদন হয়নি। বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ওই ভবনে ন্যূনতম তিনটি সিঁড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ছিল মাত্র একটি, মাঝ বরাবর। তিনটি থাকলে হতাহত আরও কমত। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বরিশাল ও বগুড়ার রানওয়ে আরও সম্প্রসারিত করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান প্রেস সচিব।

আরও পড়ুন

গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হন, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।

ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা-সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন