২ শতাধিক আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বরছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দুই শতাধিক আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। ফোরামের সদস্য সংগঠনের ৬ হাজার ৩০১ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক মাঠে কাজ করবেন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ফোরামের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফোরামের পরিচালক আবদুল জব্বার।

আবদুল জব্বার বলেন, ভোট গ্রহণে ধীরগতি, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, অনভিজ্ঞ নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে ভোট গ্রহণসহ নানা কারণে ভোটারদের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী সময়ে সরকারি দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা গ্রহণ নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও সক্ষমতার প্রমাণ বহন করেছে। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নির্বাচনকে আরও প্রাণবন্ত করবে। সর্বোপরি নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কতটা স্বতঃস্ফূর্ত হচ্ছে, তা জানার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল জব্বার বলেন, নির্বাচনে প্রতি বুথে গড়ে ২২৯ জন ভোট দিতে পারবেন। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট হলে একজন ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ দুই মিনিট সময় পাবেন। এবার নির্বাচনে ৫০ ভাগ ভোট গ্রহণ হলে একজন ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চার মিনিট সময় পাবেন।

আরও পড়ুন

আবদুল জব্বার আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ফোরামের আমন্ত্রণে ইতিমধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফর করেছে। তাদের মতামত নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন আকারে জানিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় স্থানীয় নাগরিক, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকেরা সচেতন হলে জাল ভোট দেওয়া, ব্যালট বক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্রে আসা ও ভোটদানে বাধা প্রদান, ভোটের আগে অবৈধ অর্থের লেনদেন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী বলেন, নির্বাচনে ৬০-৭০ শতাংশ ভোট গ্রহণ হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাহফুজুল ইসলাম, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আবুল কালাম প্রমুখ।