ফরিদপুরে পুলিশের বাধায় যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল সংক্ষিপ্ত

ফরিদপুরে পুলিশের বাধায় মিছিল সংক্ষিপ্ত করেছে জেলা যুবদল। আজ শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের জেনারেল হাসপাতালের মোড় ব্রহ্মসমাজ সড়ক থেকে শুরু হয়ে মুজিব সড়ক ধরে জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত যেতে চাইলে পুলিশ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে বাধা দেয়। তখন সংক্ষিপ্ত মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে যুবদল কর্মসূচি শেষ করে।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জেলা যুবদল ও মহানগর যুবদলের যৌথ উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল পাঁচটা থেকে যুবদলের নেতা-কর্মীরা জেনারেল হাসপাতালের মোড়ে এসে সমবেত হতে শুরু করেন। ওই সময় একদল পুলিশ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সমগ্র এলাকা ঘিরে রাখে। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে যুবদলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার চেষ্টা করলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদকে ওসি বলেন, মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না। এতে শহরে যানজটের সৃষ্টি হবে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরের এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। তবে এ অবস্থায় তাঁরা তাঁদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত যাবেন না। তাঁরা ফরিদপুর প্রেসক্লাব পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যাবেন।

পরে যুবদলের নেতা-কর্মীরা জেনারেল হাসপাতালের মোড় থেকে ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করেন। এ সময় জেনারেল হাসপাতালের সামনে দিয়ে সুপারমার্কেট পাড় হয়ে মুজিব সড়কের সামনের দিকে এগোতে থাকেন নেতারা। তবে পুলিশ আগেই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গাড়ি আড়াআড়ি করে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। পরে যুবদল প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ শুরু করে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরিজ। বক্তারা বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারকে না হটানো পর্যন্ত মানুষের মুক্তি নেই। এ সরকার গণবিরোধী সরকার। এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে এ সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবেন না।

সমাবেশ চলাকালে একদল পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, যুবদলকে বিক্ষোভ মিছিলটি জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত যেতে দিলে শহরে যানজটের সৃষ্টি হতো। পাশাপাশি নাশকতার ঘটনাও ঘটতে পারত। এ জন্য যুবদলের মিছিলটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।