আয়বর্ধক কাজের জন্য ৯৬ হাজার নারীকে অর্থসহায়তা দেওয়া শুরু

ইনভেস্টমেন্ট কম্পোনেন্ট ফর ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইসিভিজিডি) প্রকল্পের আওতায় নারীদের অর্থসহায়তা দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনেছবি: সংগৃহীত

ব্যবসা পরিচালনা বা আয়বর্ধক কাজের জন্য ৯৬ হাজার ৯২৮ জন নারীকে অর্থসহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উদ্যোগে ইনভেস্টমেন্ট কম্পোনেন্ট ফর ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইসিভিজিডি) প্রকল্পের আওতায় ওই নারী উপকারভোগীদের ২০ হাজার টাকা করে চেক দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে প্রকল্পের নারী উপকারভোগীদের জিটুপি (গর্ভমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতির মাধ্যমে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)। আইসিভিজিডি প্রকল্পের আওতায় মোট ১ লাখ নারী উপকারভোগীর মধ্যে ৯৬ হাজার ৯২৮ জন নারীকে উপযুক্ত হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৯৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন বলেন, নারীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এই বিনিয়োগ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার শুধু নারীদের সহায়তা করছে না, বরং নারীদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হয়েছে। নারীদের উন্নয়নে ও দেশের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার এমন সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি, মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক এবং মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান।

চলমান আইসিভিজিডি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪টি জেলার প্রতিটি থেকে ১টি করে উপজেলা নিয়ে ৬৪টি উপজেলায় ১ লাখ নারীকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। ওই উপকারভোগীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে নগদ অর্থ অনুদান, প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ, ৫টি নির্ধারিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং একটি বিশেষ মডিউলের অধীনে উপকারভোগীর নিজের পছন্দ ও সুবিধাজনক একটি বিষয়ে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরিতে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।