বন্ধ পাটকলের খালি জায়গায় চাষাবাদ হচ্ছে: বিজেএমসি

বন্ধ পাটকল খুলে দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছেন শ্রমিকেরা
ফাইল ছবি

বন্ধ পাটকলগুলোর খালি জায়গায় এখন চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)। সংস্থাটি বলছে, পতিত জমি অনাবাদি না রাখতে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তার আলোকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিজেএমসির দেওয়া প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে বিজেএমসির পক্ষ থেকে ২০২০ সালের ১ জুলাই বন্ধ করে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, এসব পাটকল পরবর্তী সময়ে ইজারাপদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ইজারার জন্য নির্বাচিত ১৭টি পাটকলের মধ্যে ৬টি ইজারা দেওয়া হয়।

বন্ধ হওয়া তিনটি নন-জুট মিলের মধ্যে একটি (জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লি.) বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ‘জামদানি ভিলেজ স্থাপন’ ও ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ প্রকল্পের জন্য। ২টি নন-জুট মিল এবং বাকি ১১টি পাটকল ইজারা দেওয়ার জন্য নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

এর বাইরে বাকি পাঁচটি পাটকলের মধ্যে দুটি মামলাজনিত সমস্যায় এবং তিনটি সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত থাকায় ইজারা দেওয়ার বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এসব মিলের পুকুর, জলাশয়, গুদাম ইত্যাদি ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাটকলগুলো বন্ধ হওয়ার পর শ্রমিক কলোনি খালি হয়, এসব খালি জায়গা, নির্ধারিত পাটকলগুলোর ইজারা এলাকার বাইরের খালি জায়গা এবং ইজারার বাইরে থাকা অবশিষ্ট মিলের খালি জায়গায় চাষাবাদের আওতায় এনে চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোন প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ করা হচ্ছে, তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে ইজারার মাধ্যমে চাষাবাদ করা হচ্ছে। কমিটির বৈঠকেও এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আগামী বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হবে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাটকলগুলোতে কী পরিমাণ পাটজাত পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে এবং বিদেশের বাজারে তার কী চাহিদা রয়েছে, তার হালনাগাদ তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অনুযায়ী পাটের তৈরি ব্যাগ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা তদারক করার পরামর্শ দেয় কমিটি।