জড়িত কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত, আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনফাইল ছবি

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।

আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আ ফ ম খালিদ হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি, তাদের কিছু ছবি, তাদের কিছু পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছি। তাদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম আলোর কার্যালয় ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ হামলার ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল।

ছায়ানট ভবনে হামলার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে অথবা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করবে, এটা কোনো দিন আমাদের কাছে কাম্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক পোশাক কারখানার কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা ও এক পর্যায়ে গাছে ঝুলিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন করা হয় আ ফ ম খালিদ হোসেনকে। জবাবে উপদেষ্টা দুঃখপ্রকাশ করেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, গর্হিত কাজ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার কোনোভাবে আইন হাতে নিতে দেবে না।

বৃহস্পতিবার রাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। একই সঙ্গে হামলার শিকার হয়েছে শীর্ষ ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারও। সন্ত্রাসীরা কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কার্যালয় দুটি।