ঢাকা–বেইজিং সম্পর্ক অপরিবর্তিত আছে: চীনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যাই হোক না কেন, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চীন আমাদের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে সুদৃঢ় করতে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতাকে অধিকতর গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আগ্রহী।’
বাংলাদেশ সফররত নৌবহরের কিউই জিগুয়াং ও জিং গ্যাংশান কমান্ডারদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ শনিবার চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্লিট কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মঈনুল হাসান ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার।
চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বিষয়ে উভয় পক্ষ গভীরভাবে মতবিনিময় করেছে। উভয় পক্ষই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে তাদের দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেছে এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এর আগে চীনা নৌবহর কিউই জিগুয়াং ও জিং গ্যাংশান বাংলাদেশে শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে চীনের রাষ্ট্রদূত তাদের স্বাগত জানান। চীনা দূতাবাসের কূটনীতিকরা, এন্টারপ্রাইজ ও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি এবং এ দেশে অবস্থানরত চীনের নাগরিকেরা স্বাগত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একটি উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে চায়নিজ প্ল্যান্ট আস্ক গ্রুপ ৮৩ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত চীনারা বিপুল উৎসাহে চীন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে চীনা নৌবাহিনীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায় এবং চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দীর্ঘায়ু কামনা করে।
নৌবহরের চার দিনের শুভেচ্ছা সফরকালে চীন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এবং অভিন্ন ভবিষ্যতে একটি সামুদ্রিক সম্প্রদায় গড়ে তুলতে অবদান রাখার জন্য দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, জাহাজ খোলার দিন, ডেক অভ্যর্থনাসহ ধারাবাহিক আয়োজন থাকবে।
চীনের নৌবহরের সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের চার বছর পর এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর এটিই বাংলাদেশে প্রথম কোনো রাষ্ট্রের নৌবহর সফর।
চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সফরটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।