আজরা জেয়া-মাসুদ বৈঠক: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আবারও জোর যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন
ছবি: আজরা জেয়ার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের ওপর আবারও জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে প্রসঙ্গটি আবারও তুলেছেন।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বিকেলে আজরা জেয়া ও মাসুদ বিন মোমেনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনার পর আজরা জেয়া তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানান।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আজরা জেয়া ও মাসুদ বিন মোমেনের মধ্যে হওয়া ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

আলোচনা প্রসঙ্গে আজরা জেয়া তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে আবার আলোচনার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আজরা জেয়া তাঁর এক্স পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন

এর আগে গত জুলাই মাসে আজরা জেয়া চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশ নিয়ে নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরকালে তিনি বাংলাদেশে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানব পাচার ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না—এমন শর্ত জুড়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত মে মাসে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দেন। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র‍্যাব এবং বিশেষায়িত ওই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে দুই দেশের সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল।

আরও পড়ুন