গণফোরাম নেতা ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান
ফাইল ছবি

বিমানের অনিয়ম, অভিযোগ নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

সোমবার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ বিমান অর্ডার ১৯৭২ পুনর্বহাল ও সংশোধন’ বিলের ওপর আলোচনায় মোকাব্বির খান বলেন, ‘মন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি। আমি মনে করেছিলাম তিনি বিমানের ভালো ইমেজ নিয়ে আসবেন। কোনো সরকারের সময় বিমানকে ভালো অবস্থান দেখিনি।’

বিল পাসের আলোচনায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, বিমানবন্দরে মিষ্টি খেতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ এসেছে। এটা হতে পারে না। একটা বিমানবন্দর জাতির ভাবমূর্তি তৈরি করবে। বাংলাদেশ বিমান দেশের ইমেজ। সারা পৃথিবীতে ৮০ লাখ বাংলাদেশি আছেন। তাঁরা বিমানকে প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখতে চান, টিকিটের দাম অনেক বেশি। হয় টিকিট পাওয়া যায় না, সিট পাওয়া যায় না, খালি যায়, ফেরত আসার অনেক ক্ষেত্রে লোকসান গুনতে হয়।

বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী দাবি করেন, একটা সময় ছিল বিমানের টিকিট পাওয়া যেত না। এখন সে অবস্থা নেই। এখন অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হয়। বিমান এখন লাভে চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিল পাস
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে করা বাংলাদেশ বিমান অর্ডার পুনর্বহাল করতে এদিন সংসদে ‘বাংলাদেশ বিমান অর্ডার ১৯৭২ পুনর্বহাল ও সংশোধন’ বিল পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, এই আইনটি ২০০৭ সালের ১১ জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ–সংবলিত বিবৃতিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, কোনো প্রকার মৌলিক পরিবর্তন না করেই তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন অর্ডিন্যান্স দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে প্রণীত বাংলাদেশ বিমান অর্ডার রহিত করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে প্রণীত সব আইন তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও দেশের সংবিধানের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সম্পৃক্ত। তাই এই আদেশটি পুনর্বহালসহ সংশোধন করে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।