পাহাড়ি নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদনের শুনানি হয়েছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাঙামাটির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইশরাত জাহান এ দিন ধার্য করেন।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে শুনানিতে বাদীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান, রাজীব চাকমা ও সুস্মিতা চাকমা। শুনানির সময় আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান আগামী শুনানিতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশ দেন। তবে শুনানির সময় নারাজি আবেদনের বাদী ও কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা অনুপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালে কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ১১ জুন রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাল্যাঘেনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন তৎকালীন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা। ১৩ জুন বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করেন কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা।
বাদীর আইনজীবী রাজীব চাকমা বলেন, কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদনের শুনানি হয়েছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সে সময় সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি জানান, এর আগে এই মামলার শেষ শুনানি হয় গত ১৩ আগস্ট।