নীলফামারী ৪: স্বতন্ত্র সিদ্দিকুলের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন ইসিকে নিষ্পত্তির নির্দেশ
জালিয়াতির অভিযোগে নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান। আবেদনটি পাঁচ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন। জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সিদ্দিকুল আলমের প্রার্থিতা বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর গত মঙ্গলবার আবেদন করেন আহসান আদেলুর রহমান। এরপর সিদ্দিকুলের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
নীলফামারী-৪ আসনে আদেলুর জাতীয় পার্টির প্রার্থী। আর নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ছিলেন সিদ্দিকুল আলম। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামরুন নাহার মাহমুদ ও মোকাররামুছ সাকলান।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধান অনুযায়ী, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন-সংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হয়। সিদ্দিকুল আলম সমর্থন–সংবলিত তালিকাসহ (৪ হাজার ২৬০ জন) মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে ১০টি ক্রমিকের মধ্যে একজন ভোটারের স্বাক্ষর না থাকা ও অপর এক ভোটার আগেই মারা গেছেন, যাচাইয়ে এমন তথ্য আসায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ৩ ডিসেম্বর সিদ্দিকুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে সিদ্দিকুল ইসিতে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে ইসি ১১ ডিসেম্বর সিদ্দিকুলের আপিল মঞ্জুর করে সিদ্ধান্ত দেন। ফলে সিদ্দিকুল প্রার্থিতা ফিরে পান।
ইসির আইনজীবী মোকাররামুছ সাকলান প্রথম আলোকে বলেন, ওই আপিল করার সময় অন্য এক ব্যক্তিকে মৃত ব্যক্তির স্থলে প্রতিস্থাপন করে জাল হলফনামা দাখিলের অভিযোগ তুলে সিদ্দিকুলের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আবেদনটি করেন আদেলুর। হাইকোর্ট রুল দিয়ে আবেদনটি পাঁচ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।