মির্জা ফখরুল ৯ মামলায় জামিন পেলেন

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরছবি: ফাইল ছবি

পল্টন ও রমনা থানার পৃথক নয়টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন আজ বুধবার এ আদেশ দেন। 

প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) নয়টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আরেকটি মামলায় আজ হাইকোর্টে তাঁর জামিন আবেদন নাকচ হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানির অপেক্ষায়। এ দুটি মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী আসাদুজ্জামান। আদালতকে তিনি বলেন, ৭৬ বছর বয়সী মির্জা ফখরুল ইসলাম অসুস্থ। গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা মির্জা ফখরুলের ওজন ৫ কেজি কমে গেছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, যেকোনো বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন। বিএনপি মহাসচিব বয়স্ক এবং অসুস্থ, তাঁর জামিনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য আদালতের প্রতি আবেদন জানান তাঁর আইনজীবীরা।

আদালতে ফখরুলের আইনজীবী দাবি করেন, বিরোধী মতের ওপর এখনো নানাভাবে নির্যাতন চলছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে করা নয়টি মামলা রাজনৈতিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মামলায় বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। ওই নয়টি মামলার মধ্যে একটি মামলার আসামি শাহজাহান ওমর। তিনি জামিন পেয়ে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাহ আলম। তিনি আদালতে বলেন, প্রতিটি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান। তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করা হোক।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে করা ৯ মামলায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মির্জা ফখরুলের পক্ষে আদালতে আইনজীবী আসাদুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ওমর ফারুকসহ কয়েকজন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল, শাহ আলম প্রমুখ।