গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত ও বিচার দাবি

গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত, বিচারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ‘জনতার জুলাই যাত্রা’ করে ইনকিলাব মঞ্চছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জুলাই শহীদদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত, বিচারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ‘জনতার জুলাই যাত্রা’ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানার সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা ভবন মোড়ে যেতেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ।

মিছিলটি শিক্ষা ভবন মোড়ে আটকে দেওয়া হলেও সেখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের দাবিগুলো উত্থাপন করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই গণহত্যায় সরাসরি জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। জুলাই–শহীদ ও জুলাই–যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, মিথ্যা প্রতিবেদন ও হয়রানিতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশে ছাত্রলীগের সব ক্যাডারকে অর্থাৎ বিভিন্ন কমিটিতে যাঁদের পদ ছিল, তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে। জুলাই গণহত্যার দায়ে তিরস্কৃত ও বদলি হওয়া পুলিশ সদস্যদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে জুলাই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা বন্ধ করতে হবে।

শিক্ষা ভবন মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা পুলিশের হাত আমাদের রক্তে রঞ্জিত করেছে। ছাত্রলীগের গুন্ডা পুলিশেরা আমাদের খুন করেছিল। আমরা চাই, আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে আপনারা হাত পরিষ্কার করবেন। আমরা পাঁচ দফা দাবি পুলিশ সদর দপ্তরে জমা দিতে চাই। আমাদের সাহায্য করুন। আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না।’

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এখন যারা আছি তারা ঢাকা শহরে নতুন। এমন কিছু করা যাবে না, যাতে আমরা দুর্বল হই, রাষ্ট্র দুর্বল হয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের দাবিগুলো আমরা শুনেছি। আজ যেহেতু শুক্রবার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেভাবে পুলিশ সদর দপ্তরে নেই। আগামীকাল আইজিপির কাছে এটা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’

পুলিশের এই কর্মকর্তার বক্তব্যের পর পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে তা পূরণে আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘যদি আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে এ বিষয়ে আমাদের জানানো না হয়, তাহলে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না দিয়ে আমরা পুলিশ সদর দপ্তরের বারান্দায় অবস্থান নেব।’