সংবিধান ও আইন অনুসারে বাংলাদেশ থেকে আয় করা অর্থ দিয়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে এমন কোনো ব্যক্তি বিদেশে সম্পত্তি কিনতে পারেন কি না এবং তাঁদের দায়িত্ব ও দায় সম্পর্কে সংবিধান ও আইনে কী আছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী সোমবার এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বৈত নাগরিকদের বিষয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আইনি দিকগুলো দেখে আসতে বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংবিধান ও আইন অনুসারে বাংলাদেশ থেকে আয় করা অর্থে কোনো দ্বৈত নাগরিক বিদেশে সম্পদ কিনতে বা গড়তে পারেন কি না, পারলে কতটুকু পর্যন্ত পারেন, টাকা দেশের বাইরে নিতে পারেন কি না, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগে কি না—এসব প্রশ্ন শুনানিতে উঠেছে। এসব বিষয়ে সংবিধান ও আইনে কী আছে, তা দেখে সোমবার জানাতে বলেছেন আদালত। দ্বৈত নাগরিকের দেশপ্রেম বিভক্ত বলে আদালত মন্তব্য করেছেন।’
‘বিদেশে সম্পদ কেনার উৎসব’ শিরোনামে আজ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে বাড়ি ও সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে উৎসব চলছে বাংলাদেশিদের। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের পর দুবাই ও লন্ডনে হিড়িক পড়েছে সম্পদ কেনার। আগেই আগ্রহের স্থান ছিল সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। এখন সম্পদ কেনার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে বাংলাদেশিরা এখন সম্পদ কেনায় ধনী দেশের নাগরিকদের টপকিয়ে দখল করে নিচ্ছেন শীর্ষস্থানগুলো।